সুয়েজ খাল পথের বিবরণ দাও-সুয়েজ খাল পথের গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে সুয়েজ খাল পথের বিবরণ-সুয়েজ খাল পথের গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। কারণ সুয়েজ খাল পৃথিবীর দীর্ঘতম সামুদ্রিক খালপথ।এটি উত্তর ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে দক্ষিণ লোহিত সাগরকে যুক্ত করেছে। সুয়েজ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৩ কি.মি. সর্বাধিক প্রস্থ ৫৯ মিটার এবং গভীরতা প্রায় ১১ মিটার। খালটি অতিক্রম করতে প্রতিটি জাহাজের সময় লাগে ১০-১২ ঘন্টা। প্রতিদিন বর্তমানে এই খাল পথে গড়ে ৪৫ টি জাহাজ যাতায়াত করে।

সুয়েজ খাল পথের বিবরণ দাও-সুয়েজ খাল পথের গুরুত্ব

১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইঞ্জিনিয়ার ফার্ডিনান্দ ডি লেসেপস এই খাল খননের পরিকল্পনা করেন এবং প্রায় ১০ বছর পরে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে এই খাল কাটা শেষ হয়। বর্তমানে এই খাল পথটি সুয়েজ ক্যানাল অথরিটি 'র নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এটি সম্পূর্ণরূপে মিশরের সম্পত্তি।

সুয়েজ খাল পথের বিবরণ

সুয়েজ খাল একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ।পরিবাহিত পণ্য চলাচলের গুরুত্ব অনুযায়ী এটা বিশ্বের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ। অর্থাৎ একমাত্র উত্তর আটলান্টিক সমুদ্র পথের পরে এর স্থান।১৬৬ কি.মি দীর্ঘ খাল খননের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে সংযুক্ত করে। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে এ পথটি জাহাজ চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

অবস্থান

এ সামুদ্রিক পথ উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার দেশ সমূহকে সুয়েজ খালের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। পৃথিবীর অন্য কোন সমুদ্রপথ এত অধিকসংখ্যক দেশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করেনি। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়া প্রত্যেকটি মহাদেশ এর আয়ত্তাধীন।

শাখাসমূহ

এ পথ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল হতে জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে ভূমধ্যসাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে এডেন বন্দরে পৌঁছেছে।এডেন বন্দর হতে এ পথটি ৪ টি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। যেমন-

প্রথম শাখা: এডেন হতে উত্তর-পূর্ব দিকে করাচী ও মুম্বাই হয়ে কলম্বো পর্যন্ত গিয়েছে।

দ্বিতীয় শাখা: এডেন হতে কলম্বো, মাদ্রাজ, কলকাতা, মংলা, চট্টগ্রাম ও ইয়াংগুন হয়ে সিঙ্গাপুর গিয়েছে।

তৃতীয় শাখা: এডেন হতে কলম্বো হয়ে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের পার্থ ও ফিমেন্টাল বন্দরে পৌঁছেছে। সেখান হতে এটা মেলবোর্ণ ও সিডনি হয়ে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে গিয়েছে।

চতুর্থ শাখা: আফ্রিকার পূর্ব উপকূল ধরে মোম্বাসা, দার-এস-সালাম, মোজাম্বিক,ডার্বান হয়ে কেপটাউনের দিকে গিয়েছে।

পরিবাহিত পণ্য

এ পথে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হতে চা, রেশম, পাট, পেট্রোলিয়াম বীজ, পশম, মাংস, দুগ্ধ জাত দ্রব্য, ময়দা, মদ, চিনি, তামাক, রাবার, খেজুর, কফি, লবঙ্গ, মশলা, ধাতু আকরিক, সোনা, তামা, পেট্রোলিয়াম, খাদ্যদ্রব্য ও কাঁচামাল ইউরোপের রপ্তানি হয় এবং ইউরোপ হতে এ সমস্ত দেশে শিল্পজাত দ্রব্যাদি, কলকব্জা, লোহা ও ইস্পাত দ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদি আমদানি করা হয়ে থাকে। এ পথ ভূমধ্যসাগর হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো বিশেষ লাভবান হয়েছে। ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী বন্দর গুলোও এই পথে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে থাকে।

উল্লেখযোগ্য বন্দর

এ পথের বন্দর গুলোর মধ্যে আটলান্টিক উপকূলের লন্ডন, লিভারপুল, নিউইয়র্ক, বালটিমোর, বোস্টন, হামবুর্গ, সাউদাম্পটন, ব্রিমেল,আমস্টার্ডাম,লে-হাভার, লিসবন, ভূমধ্যসাগরের উপকূলে জিব্রাল্টার, মার্সেলিস, জেনোয়া, আলেকজান্দ্রিয়া, এথেন্স,পোর্টসৈয়দ,বৈরুত, কৃষ্ণ সাগর ও লোহিত সাগর উপকূলে বার্টুম,ওডেসা ও জেদ্দা; আরব সাগর উপকূলে মোজাম্বিক, জাঞ্জিবার, এডেন, বসরা, করাচী, মুম্বাই, কলম্বো; বঙ্গোপসাগর উপকূলে মাদ্রাজ, কলকাতা, মংলা, চট্টগ্রাম, ইয়াংগুন প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে সিঙ্গাপুর, হোচিমিন সিটি, হংকং, সাংহাই, টোকিও, ইয়োকোহামা, ম্যানিলা, সিডনি, মেলবোর্ণ, ফ্রিমেন্টাল, জাকার্তা প্রভৃতি প্রধান।

সুয়েজ খাল পথের গুরুত্ব

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুয়েজ খাল খনন একটি যুগান্তরকারী ঘটনা।এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সামুদ্রিক খাল। এ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৬ কিলোমিটার। এই খালটি ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে অবস্থিত তিনটি লবণাক্ত হ্রদকে সংযুক্ত করেছে।এ খালটি খননের ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হয়।


সুয়েজ খাল খননের পূর্বে যেসব বাণিজ্য পোত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ হতে উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করত তারা অনেক কম সময়ে সুয়েজ খাল দিয়ে গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। এ খাল পথটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দেশসমূহের মধ্যে প্রায় ৭,৫০০ কিলোমিটার পথ হ্রাস করেছে। নিচে সুয়েজ খাল পথের বাণিজ্যিক গুরুত্বের বিভিন্ন দিক বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:

১)পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য

এ পথের মাধ্যমে উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপের সাথে দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশ বা অংশের নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।এ ছাড়াও ভূমধ্যসাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত এশিয়ার তুরস্ক,লেবানন,ইসরাইল,প্যালেস্টাইন, জর্ডান, সিরিয়া এবং দক্ষিণে অবস্থিত মিশর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও আলজিরিয়ার সাথে প্রাচ্যের দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

২)উত্তর আমেরিকা ও প্রাচ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য

এই পথ কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব তীরের বিভিন্ন বন্দরের সাথে দক্ষিণ এশিয়া,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,দূরপ্রাচ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বন্দরের যোগসূত্র সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিম প্রান্তের দুটি ঘনবসতিপূর্ণ সম্পদশালী শিল্পপ্রধান অঞ্চলের সাথে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার ঘন বসতিপূর্ণ কৃষি প্রধান অঞ্চলের বাণিজ্য সংযোগ ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা হয়েছে এই পথের বদৌলতে।

৩) দূরত্ব হ্রাস

সুয়েজ খাল খননের আগে উত্তমাশা অন্তরীপ পথ ঘুরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে বাণিজ্য লেনদেন হত। বহুদূর ঘুরে যাতায়াতের ফলে প্রচুর সময়ও অর্থ ব্যয় হতোিএছাড়াও বর্তমানে সুয়েজ খাল পথে উত্তমাশা অন্তরীপের তুলনায় দূরত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। এই পথে দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫৬৩৫ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে।


এছাড়াও লন্ডন থেকে ইয়োকোহামার দূরত্ব প্রায় ৪৮৩০ কিলোমিটার, সিঙ্গাপুর ও কলিকাতার দূরত্ব প্রায় ৫৬০০ কিলোমিটার,মোম্বাই এর দূরত্ব প্রায় ৭০০০ কিলোমিটার, হংকং এর দূরত্ব প্রায় ৫৪৭০ কি.মি. করাচীর দূরত্ব প্রায় ৭২৪০ কিলোমিটার এবং নিউইয়র্ক থেকে হংকং এর দূরত্ব ৩৬৯০ কিলোমিটার ও মোম্বাইয়ের দূরত্ব প্রায় ৫৪৮০ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে।

৪) সুলভে পণ্য ক্রয়

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দূরত্ব,সময় এবং পরিবহণ ব্যয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূরত্ব বেশি হলে সময় ও পরিবহন ব্যয় বেশি হয়, ফলে ক্রেতাদেরকে অনেক বেশি টাকা খরচ করে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হয়। বর্তমানে দূরত্ব কমে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশের বণিকগণ অনেক সুলভে ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে পারছেন।

৫) জ্বালানির সহজলভ্যতা

এই পথে চলাচলকারী জাহাজগুলো মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের পেট্রোলিয়াম এবং দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কয়লা সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া পূর্ব প্রান্তের অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্য-পূর্বাংশের ভারত কয়লা সম্পদে সমৃদ্ধ। ফলে সমুদ্র চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজগুলোর জন্য জ্বালানি পেতে কোনই অসুবিধা হয় না।

৬)কাঁচামাল সংগ্রহ

শিল্পোন্নত ইউরোপ তাদের শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এশিয়ার কৃষি প্রধান দেশসমূহ হতে সংগ্রহ করে থাকে। সুয়েজ খাল খননের ফলে ইউরোপের জন্য শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহ অনেক সহজতর হয়েছে।

৭) ভালো বন্দরের সান্নিধ্য

সুয়েজ খাল পথের যেসব জাহাজ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকা হতে ইউরোপ ও আমেরিকার বন্দর গুলোতে যাতায়াত করে, সেগুলো পথিমধ্যে অনেক প্রসিদ্ধ বন্দরে মাল উঠাবার ও নামাবার সুযোগ পায়।

৮) অল্প সময়ে সুলভ পণ্য পাওয়ার সুবিধা

এ পথে দূরত্ব হ্রাস পাওয়ায় এবং ভালো বন্দরের সুযোগ সুবিধা থাকায় সম্ভোগকরীগণ কম সময়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পণ্যদ্রব্যাদি পেয়ে থাকে।

৯) জাহাজ চলাচলের সুবিধা

সময় কম লাগায় এবং ঝড় তুফানের ভয় কম থাকায় এ পথে জাহাজ চলাচলের সুবিধা অধিক। ফলে এ পথে ইউরোপের জাহাজ বেশি চলাচল করে থাকে। বছরে প্রায় ১৪/১৫ হাজার জাহাজ এ খাল পথ দিয়ে যাতায়াত করে এবং বার্ষিক পরিবাহিত পণ্যের পরিমাণ ৩ কোটি টনেরও বেশি।

১০) পেট্রোলিয়াম ব্যবসায়ের সুবিধা

এ পথটি চালু হবার ফলে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর পেট্রোলিয়াম আমদানির সুবিধা হয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,স্পেন প্রভৃতি দেশ এ খাল পথের মাধ্যমে প্রাচ্যের পেট্রোলিয়াম ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও ইউরোপের দেশগুলো তাদের প্রয়োজনের প্রায় ৮৫% পেট্রোলিয়াম এ পথেই আমদানি করে থাকে।

১১) ঝড়-তুফানের ভয় হ্রাস

এ পথে পণ্য বহনকারী জাহাজ গুলোর জন্য ঝড় তুফানের ভয় খুবই কম। অথচ উত্তমাশা অন্তরীপ পথে ঝড়-তুফানের ভয় প্রায়ই থাকে। ফলে এ পথে পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১২) অধিক পণ্য প্রাপ্তি

এ পথের উভয় পার্শ্বের দেশগুলো অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এবং কৃষি, খনিজ ও শিল্পে সমৃদ্ধ হওয়ায় অধিক পণ্য পাওয়া যায়। ফলে এ পথের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৩) সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব

সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও এ পথের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।তৈল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পরস্পরের সাথে বিবাদমান।ফলে দেখা যায় অঞ্চলটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ পথের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

সুয়েজ খালের সুবিধা অসুবিধা

সুবিধা:
  • প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস।
  • দূরত্ব হ্রাসের কারণে যাতায়াত খরচ কম পড়ে।
  • সময় কম লাগে বলে আমদানি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অসুবিধা:
  • এর শুল্ক অপেক্ষাকৃত বেশি।
  • জাহাজের গতি খুব মন্থর রাখতে হয়।
  • খালটি সংকীর্ণ এবং অগভীর, সেজন্য দুটি জাহাজ বা বড় জাহাজ একসাথে যেতে পারেনা।

শেষ কথা

উপরিউক্ত আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সুয়েজ খাল খনন একটি বিরল ও নজিরবিহীন ঘটনা।পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্রপথ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আজকের আর্টিকেলে সুয়েজ খাল পথের বিবরণ দাও-সুয়েজ খাল পথের গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url