বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ বর্ণনা কর
প্রিয় পাঠক আপনারা কি বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ও জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।আমাদের সকলের সমবেত প্রচেষ্টার দ্বারা যদি এক সাথে কাজ করা যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সব সমস্যার সমাধান করা অনেকাংশে সম্ভব হবে।
ভূমিকা
শহর বা নগরের ক্রমান্বয়ে বিকাশ সাধনই হলো শহরায়ন বা নগরায়ন। আর শহরের এ বিকাশ সাধন বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হওয়ায় শহর জীবনের উপর নেমে এসেছে অগণিত সমস্যা। এসব সমস্যার সমাধান করতে না পারলে বাংলাদেশের শহর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।বর্তমানে বাংলাদেশে শহরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ও জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলের সমবেত প্রচেষ্টার দ্বারা যদি একসাথে কাজ করা যায় তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে শহরায়নের ফলে সৃষ্ট সব সমস্যার সমাধান করা অনেকাংশে সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উপায়
শহরায়ন বা নগরায়নের ফলে নগরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার উদ্ভব হয়ে থাকে।এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আবার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে শহরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
১) গৃহায়ন ব্যবস্থা গ্রহণ
বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো গৃহায়ন সমস্যা। নগরীর জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি, নিম্ন আয়, কর্মহীনতা, ভূমির স্বল্পতা, বেকারত্ব প্রভৃতি কারণে গৃহায়ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।গৃহায়ন সমস্যার সমাধানকল্পে নগরের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গৃহায়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বহুতল ভবনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সরকারি উদ্যোগে ভ্রাম্যমান লোকদের আবাসনের আওতায় আনা সম্ভব হলে শহরের অনেক রকম সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
২) কুটির শিল্পের পুনরুদ্ধার
শহরায়নের ফলে শহরের অনেক মানুষ কাজ পায় না অথচ কাজ থাকলেও দক্ষ মানুষ পাওয়া যায় না।এজন্য আমাদেরকে কুটির শিল্পের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এক সময় বাংলাদেশের কুটির শিল্প বিশ্বখ্যাত ছিল। বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প স্থাপন করে আমাদের সেই হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁত বস্ত্র, বেতের সামগ্রী, নকশি কাঁথা, খেলনা, বাঁশের তৈরি ঝুড়ি, মাটির পাত্র, শীতল পাটি,হোসিয়ারি ইত্যাদি তৈরি করলে শহরের মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আর কুটির শিল্প পুনরুদ্ধার করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালনা করলে শহরের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সাথে দূরীভূত হবে শহরায়নের ফলে সৃষ্ট অনেক ধরনের সমস্যা।
৩) কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন
শহরায়ন/নগরায়নের ফলে শহরের বাইরে থেকে বিভিন্ন শ্রেণী ও বয়সের মানুষ শহরে অভিগমন করে। আর এ অভিগমনকারীদেরকে সঠিকভাবে যদি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদান করে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় তাহলে এ বাড়তি জনসংখ্যা সমস্যা না হয়ে বরং শহরের জন্য সম্পদে পরিণত হবে। এজন্য শহরে অধিক সংখ্যক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ কাজটি যদি সফলভাবে করা যায় তাহলে শহর আরও উন্নত হবে এবং শহরায়নের ফলে সৃষ্ট অনেক সমস্যা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
৪) বেকার সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশ বর্তমানে বেকার সমস্যায় জর্জরিত। বেকার সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
ক) শিল্প স্থাপন
দেশের বিশেষ করে শহরের বেকার সমস্যার সমাধানের জন্য দেশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প স্থাপন করতে হবে। আর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি প্রভৃতির উৎস হচ্ছে বেকার সমস্যা।দেশে বৃহৎ, মাঝারি, ছোট বা ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন করে বেকার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।এক কথায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য শিল্প স্থাপনের বিকল্প নেই।
খ) জনশক্তি রপ্তানি
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। জনসংখ্যা অধিক হওয়ায় এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে অনেক লোক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মহীন। কারণ এদেশে সকল মানুষের কর্মসংস্থান করা আদৌ সম্ভব নয়। এজন্য বেকার সমস্যার সমাধানকল্পে দেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে।এতে করে একদিকে যেমন বেকার সমস্যার সমাধান হবে, অন্যদিকে দেশে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সমর্থ হবে।
গ) সমবায়ের ভিত্তিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি
সমবায়ের ভিত্তিতে শহরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।সমবায়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন,ক্ষুদ্র পরিবহন ব্যবস্থার পরিচালনা, সমবায় ভিত্তিক কুটির শিল্প স্থাপন করা যেতে পারে। এজন্য সরকার ও বিনিয়োগকারীদেরকে সহায়তার হাত প্রসারিত করতে হবে এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে হবে। আর এ কাজটি করতে পারলে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট বেকারত্ব ও বেকারত্বজনিত অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
৫) কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন
নগরায়নের ফলে নগরে বিভিন্ন শ্রেণীর ও বয়সের অগণিত অসহায় মানুষ অভিগমন করে। শহরে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে এদের পুনর্বাসন করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আর শহরে যে ধরনের কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে সেগুলো নিম্নরূপ:
ক) বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা
নগরায়নের ফলে মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধ বহুলাংশে লোপ পায়।এমতাবস্থায় চাকরি বা কর্মজীবন শেষে বৃদ্ধ বয়সে মানুষ যখন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন অনেক অকৃতজ্ঞ সন্তান বাবা-মা অথবা বৃদ্ধ অসহায় আত্মীয়স্বজনের সাথে খারাপ বা অসদাচরণ করে কিংবা তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ফলে তারা অসহায়ভাবে জীবন অতিবাহিত করে। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে। এটি শহরের জন্য একটি বড় সমস্যা।এ সমস্যা দূর করতে হলে শহরে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
খ) উপেক্ষিত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা
শহরে অগণিত শিশু রাস্তাঘাটে বসবাস করে। এদের নির্দিষ্ট কোনো ঘরবাড়ি নেই, অনেকের আত্মীয়-স্বজন বলতে কেউ নেই। এরা অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠে বলে এদের অনেকে খুনি, সন্ত্রাসী, ডাকাত, ছিনতাইকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং এসব পথশিশু বা উপেক্ষিত শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শহরে এদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এদেরকে শিক্ষিত ও কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে শহর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
৬) পরিবার কল্যাণ কর্মসূচি গ্রহণ করা
নগরায়নের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যাবলি সমাধানের জন্য পরিবার কল্যাণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ কর্মসূচির আওতায় নৈশ বিদ্যালয় ও বয়স্ক শিক্ষা চালু করতে হবে, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে,এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলকে বুঝাতে হবে, নারী শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে ইত্যাদি।
৭) শিক্ষার ব্যবস্থা করা
সুশিক্ষিত জাতি দেশ ও শহরের প্রধান সম্পদ। শহরের জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য চাই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং অবকাঠামো।এ শিক্ষার সাথে বাস্তবতার মিল থাকতে হবে। আর বাস্তবভিত্তিক শিক্ষায় শহরবাসীকে উন্নত জাতিতে পরিণত করতে হবে। শহরের জনগণ যদি বাস্তবভিত্তিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তাহলে উন্নত জাতিতে উন্নীত হতে পারবে এবং শহরায়ন সমস্যা অনেকাংশে দূরীভূত হবে।
৮) স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন
শহর একটি ঘনবসতি এলাকা। আর এখানে অতি অল্প জায়গায় অধিক মানুষ বসবাস করে, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা দূর করার জন্য শহরে পর্যাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি স্থাপন করে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে হবে। এজন্য ডাক্তার,নার্স,কর্মকর্তা,কর্মচারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯) সুষ্ঠু যাতায়াতের ব্যবস্থা করা
নগরায়নের ফলে নগরে অনেক লোকের সমাগম হয়।এ সব লোকের চলাচলের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।কমাতে হবে শহরের রাস্তার যানজট। আর এজন্য প্রয়োজন রাস্তা প্রশস্ত করণ, রাস্তার ট্রাফিক আইন মান্যকরণ, অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদকরণ, ভুয়া ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওভারব্রিজ এবং আন্ডার গ্রাউন্ড রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। উল্লিখিত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে পারলে যানজটের নিরসন হবে, সেই সাথে হ্রাস পাবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
১০) বিনোদনের সুব্যবস্থা
বিনোদনের সুব্যবস্থা করার জন্য শহরে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। নিম্নে এ ধরনের কতিপয় প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হলো:
ক)নগর উদ্যান
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করা এবং ছুটির দিনকে উপভোগ করার জন্য শহরে বিভিন্ন ধরনের নগর উদ্যান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেমন- শিশু পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সাধারণ পার্ক ইত্যাদি। এসব পার্কে শহরবাসী, অবসর সময় অতি আনন্দের মধ্যে কাটাতে পারে বলে শহর জীবনের একঘেয়েমি দূর হয়।শহরবাসী নবোদ্যমে কাজ করতে পারে।
খ) জাদুঘর প্রতিষ্ঠা
শহরবাসীর বিনোদন ও শিক্ষার জন্য দেশের বিভাগীয় শহরসহ জনবহুল অন্যান্য শহরে পর্যাপ্ত জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা দেশের সবাই সময় ও অর্থাভাবে একমাত্র জাতীয় জাদুঘরে আসার সুযোগ পায় না। তাই বিভাগীয় শহরগুলোতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে শহরবাসী বিনোদন উপভোগ করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারে।
গ) খেলার মাঠ তৈরি এবং খেলাধুলার সুব্যবস্থা
শহরের শিশু ও যুবকদের জন্য যদি পর্যাপ্ত খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকে তাহলে তারা খেলাধুলায় মত্ত থাকবে।ফলে তারা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না।এজন্য শহরে খেলার মাঠ তৈরি এবং সেই সাথে খেলাধুলা সুব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ) সিনেমা ও থিয়েটার প্রতিষ্ঠা
শহরবাসীর বিনোদনের জন্য উত্তম মাধ্যম হলো সিনেমা, থিয়েটার, নাটক ইত্যাদি।আর সুস্থ বিনোদন শহরবাসীকে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ থেকে অনেকাংশে রক্ষা করে। তাই বাংলাদেশের শহরগুলোতে সিনেমা ও থিয়েটারের মতো সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে অশ্লীল চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
১১) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা
নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে হলে শহরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।আর এজন্য সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক হতে হবে।সেই সাথে শহরবাসীকে দেশের প্রচলিত আইন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সকলেই যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
শেষ কথা
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের শহরায়ন/নগরায়ন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।এসব সমস্যা শহর জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে যদি দ্রুত শহর সমস্যার সমাধান করা না যায়।শহরায়ন/নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যাবলি সমাধানকল্পে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ ও সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের শহরায়নের/নগরায়নের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।শহরগুলো হবে বসোপযোগী ও সুন্দর। আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশে নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।