জোয়ার-ভাটার শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা কর
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সমুদ্রের পানির স্ফীতিকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়া বা হ্রাস পাওয়াকে ভাটা বলে। দিনে ২ বার জোয়ার-ভাটা হয়। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে জোয়ার-ভাটার শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রতি দিন দুই বার করে জোয়ার ও দুইবার করে ভাটা হয়ে থাকে।তবে জোয়ার-ভাটা ঠিক ৬ ঘন্টা পরে না হয়ে ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে হয়। এর কারণ এই যে, পৃথিবী যেমন নিজ মেরু রেখার উপরে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে, চন্দ্র তেমনি নিজ কক্ষপথে পৃথিবীর চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে।
ভূমিকা
বিশ্ব সমুদ্রে স্রোত ও তরঙ্গ ব্যতীত সমুদ্রের পানি রাশির আরও একটি গতি আছে।আর সেটা হল জোয়ার-ভাটা। জোয়ার-ভাটা দ্বারা সমুদ্রের উপকূলের প্রাণী, উদ্ভিদ ও তৎসংলগ্ন বসবাসকারী মানুষ বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। গভীর সমুদ্র অপেক্ষা অগভীর সমুদ্র তথা সমুদ্র উপকূলে জোয়ার-ভাটার প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়।আর গভীর সমুদ্রে সমুদ্র সমতল প্রায় ১-৩ ফুট ওঠানামা করে। কিন্তু উপকূলের নিকটে বেশি ওঠানামা করে। জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী পানির উচ্চতার ব্যবধান উপকূলে বা অগভীর অংশে ২০ ফুটেরও বেশি। জোয়ার-ভাটা সমুদ্রের পানির এক নৈসর্গিক ও বৈচিত্রময় ঘটনা।
আরো পড়ুন:জোয়ার-ভাটার কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর
জোয়ার-ভাটার সংজ্ঞা
মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে সমুদ্রের পানির উঠানামাকেই এক কথায় জোয়ার-ভাটা বলা যায়। পানি যখন ফুলে উঠে সমুদ্র থেকে তীর ভূমির দিকে অগ্রসর হয় তখন সেটি জোয়ার এবং যখন পানি তীর ভূমি থেকে সমুদ্রের দিকে পশ্চাদপসরণ করে তখন সেই অবস্থা ভাটা হিসেবে পরিচিত।Trujillo (১৯৯৯)-এর মতে,"জোয়ার-ভাটা হল সমুদ্রের পানির নির্দিষ্ট অবস্থান বা সমুদ্র সমতল থেকে পানির নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ব্যাপী উঠানামা।"সমুদ্রের পানির এই উঠা নামা মূলত: চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণেই হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য জ্যোতিষ্কগুলোর আকর্ষণও কিছুটা কাজ করে।P.R. Pinet-এর মতে, জোয়ার-ভাটা হলো সাধারণত বায়ু তাড়িত সমুদ্র তরঙ্গের চেয়ে অনেক দীর্ঘ তরঙ্গ যা' অসাধারণ নিয়মতান্ত্রিকতায় নিয়মিতভাবে সমুদ্র সমতল উঠানামার দ্বারা আবির্ভূত হয়।
জোয়ার-ভাটার বৈশিষ্ট্য
১/জোয়ার-ভাটা সমুদ্রের নিত্য কাজ। এছাড়া একটি সমুদ্র উপত্যকার একদিকে জোয়ারের ফলে পানির উত্থান ঘটে এবং অপরদিকে পানির অবনমন ঘটে।
২/জোয়ারের তরঙ্গ অগভীর কিন্তু দীর্ঘ।
৩/জোয়ারের তরঙ্গ অগভীর হলেও সমুদ্রের বায়ুতাড়িত তরঙ্গের চাইতে অধিক শক্তিধর।
৪/ভাটার সময় থেকে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতার পার্থক্য বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয়।এটা নির্ভর করে সমুদ্রের গভীরতা, উপকূলের গঠন-প্রকৃতি, সমুদ্রের উন্মুক্ততা ও আবদ্ধতা ইত্যাদির ওপর।
৫/সমুদ্রের বায়ু তাড়িত তরঙ্গের ন্যায় জোয়ারের তরঙ্গের চড়া এবং খাদ (উন্নত ও অবনত অংশ) আছে। এই চড়া ও খাদের উলম্ব পার্থক্যকে জোয়ারের সীমা বলে।এছাড়া উচ্চতার উপর ভিত্তি করে জোয়ার সীমাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
ক) ক্ষুদ্র জোয়ার সীমা: ২ মিটারের কম তরঙ্গ উচ্চতা;
খ) মধ্যম জোয়ার সীমা: তরঙ্গ উচ্চতা ২-৪ মিটার;
গ) বৃহৎ জোয়ার সীমা: তরঙ্গ উচ্চতা ৪ মিটারের অধিক।
৬/সমুদ্রের উপকূল এলাকায় প্রতিদিন দু'বার জোয়ার ও দু'বার ভাটা হয়।
৭/প্রতি মাসে দু'বার উচ্চ জোয়ার বা তেজকটাল বা ভরা কটাল এবং দু'বার নিম্নজোয়ার যা মরাকটাল হয়ে থাকে।
৮/চন্দ্রের ন্যায় সূর্যের আকর্ষণের দিকে ও বিপরীত দিকে সমুদ্রের পানির স্ফীতি হবে একই নিয়মে।আর এ প্রকার স্ফীতিকে সৌরস্ফীতি বলা হয় এবং দু'বারের স্ফীতির মোট সময় কালকে সৌর দিন বলা হয়।
৯/মহাকর্ষ জনিত সমুদ্রের পানির উন্নতিকে জোয়ারের স্ফীতি বলা হয়।এই স্ফীতি চন্দ্রের সম্মুখ ও বিপরীত দিকে হয়ে থাকে।এছাড়া চন্দ্রের আকর্ষণস্থলের দিকে ও আকর্ষণস্থলের বিপরীত দিকে সমুদ্রের স্ফীতিকে চন্দ্র জোয়ার স্ফীতি বলে। একটি স্থানের এই ধরনের স্ফীতি দৈনিক দু'বার হয় এবং দুটি স্ফীতির সময়ের পার্থক্য হয় ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট। দু'টি স্ফীতির মোট স্থায়ীত্ব কালকে চন্দ্র দিন বলা হয়।
১০/মহাকর্ষ শক্তির ফলে শুধু চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ নয় অন্যান্য গ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণেও জোয়ার-ভাটা হতে পারে, তবে সেটা নির্ভর করে জ্যোতিষ্কগুলোর আয়তন ও দূরত্বের উপর। পৃথিবী থেকে তাদের অবস্থানগত দিকও জোয়ার সৃষ্টির অন্যতম শর্ত। এ প্রকার জটিল কারণে অথবা আঞ্চলিক কোন অজানা কারণে কোনো কোনো স্থানে একটি চন্দ্র দিনের দু'বার জোয়ার-ভাটা আগমনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়। একটি চন্দ্রদিনে জোয়ারের প্যাটার্ন বা ধরন তিন প্রকার হতে পারে-
ক) দৈনিক মাত্র একবার জোয়ার ও একবার ভাটা;
খ) দৈনিক দু'বার জোয়ার ও দুবার ভাটা এবং জোয়ারের উচ্চতা চিহ্নিত যোগ্য;
গ) কোনো কোনো স্থানে উপরোক্ত দু' ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়,জোয়ারের উচ্চতা সর্বদা পরিবর্তনশীল। এই ধরনের জোয়ারকে দৈনিক অসামঞ্জস্যতা বলে অভিহিত করা হয়।
১১/কখনো কখনো জোয়ারের সময় খাড়া প্রাচীরের ন্যায় পানি রাশি উঁচু হয়ে তীরের দিকে আসে যাকে জোয়ারের বান বলে।নদীর খাড়ি অঞ্চলে সমুদ্রগামী নদীর স্রোত ও সমুদ্র থেকে নদীর দিকে আসা জোয়ার স্রোতের সংঘর্ষে ঐ প্রকার সংকীর্ণ ও তীক্ষ্ণ মুখবিশিষ্ট উলম্ব পানি স্রোতের সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এর উচ্চতা অনেক বেশি। তবে স্থানভেদে বানের উচ্চতা ৯-৪ মিটার পর্যন্ত পর্যবেক্ষিত হয়েছে।
জোয়ার-ভাটার শ্রেণীবিভাগ
১) মূখ্য জোয়ার
২) গৌণ জোয়ার
৩) ভরা কটাল
৪) মরা কটাল
৫) ক্রান্তীয় ও নিরক্ষীয় জোয়ার-ভাটা
৬)অনুভূ ও অপভূ জোয়ার-ভাটা
৭) দৈনিক ও অর্ধ দিবস জোয়ার-ভাটা
৮)বিষুবীয় ভরা জোয়ার
(১) মূখ্য জোয়ার
পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে যে, জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সূর্য অপেক্ষা চন্দ্রের ভূমিকা বেশি। চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে।আর এই আবর্তন কালে পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের খুব কাছে আসে সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি।এই আকর্ষণ শক্তি স্থলভাগ থেকে জল ভাগের উপর বেশি কার্যকরী।আর এই জন্য চারদিক থেকে পানির আকর্ষণ স্থলের দিকে প্রবাহিত হয়। তবে কেন্দ্রাতিগ শক্তি এই প্রবাহে যথেষ্ট সাহায্য করে। এর ফলে চন্দ্রের নিকটবর্তী অংশে পানি ফুলে উঠে। এই জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বলে।
(২)গৌণ জোয়ার
জোয়ার-ভাটা সম্পন্ন নদ-নদীর যে কোনো এক স্থানে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়। আর জোয়ার-ভাটার প্রত্যেকটির স্থিতিকাল প্রায় ৬ ঘন্টা। পৃথিবীর কোথাও মুখ্য জোয়ার হলে তার প্রতিপাদ স্থানে পানির নিচে স্থল ভাগ রয়েছে, যা কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত। সুতরাং উক্ত স্থান ও কেন্দ্রের উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সমান।যার ফলে প্রতিপাদ স্থানের পানি অপেক্ষা স্থলভাগ চন্দ্রের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়।আর পাশাপাশি প্রতিপাদ স্থানের পানি রাশির উপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কমে যায় এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি বেশি কার্যকরী হয়। ফলে আসে পাশের পানি সেই স্থানে প্রবাহিত হয়ে জোয়ারের সৃষ্টি করে। এই জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বলে।
(৩)ভরা কটাল বা ভরা জোয়ার
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সরাসরি সরল রেখা বরাবর আকর্ষণ করে বলে সমুদ্রের পানির স্ফীতি হয় প্রবল। ঐ দুই সময়ের সমুদ্রের স্ফীতি ভরা কটাল বা তেজ কটাল নামে পরিচিত। তবে তুলনামূলকভাবে অমাবস্যা তিথির জোয়ার বেশি শক্তিশালী। কারণ ঐ সময় সূর্য ও চন্দ্র একই সরলরেখার একই দিক থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু পূর্ণিমা তিথিতে সূর্য ও চন্দ্র বিপরীত দিক থেকে একই সরলরেখা বরাবর আকর্ষণ করে বলে আকর্ষণের শক্তি কিছুটা কমে আসে। দুই তিথিতে বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের উচ্চতার বিভিন্নতা থাকলেও সাধারণত তেজ কটালে স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ২০% অধিক জোয়ার হয়।
(৪) মরা কটাল বা মরা জোয়ার
সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সমকোণে থেকে পৃথিবীকে আকর্ষণ করে বলে আকর্ষণের শক্তি অনেক কমে যায়।ঐ সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ২০% ও তেজ কটালের চেয়ে ৪০% জোয়ার কম হয়।
(৫)ক্রান্তীয় ও নিরক্ষীয় জোয়ার-ভাটা
সূর্যের মতো চন্দ্রের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়ন ঘটে। অর্থাৎ চন্দ্র সারা মাস নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে লম্বভাবে আলো দেয় না। প্রতিমাসে একবার কর্কটক্রান্তী ও মকর ক্রান্তী রেখার দিকে সরে যায়। সূর্য ৩৬৫ দিনে এবং চন্দ্র ২৭ ১\২ দিনে একবার উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে সরে যাওয়ার কাজ শেষ করে। আর চন্দ্র যখন উত্তর গোলার্ধের দিকে সর্বোচ্চ স্থান পরিবর্তন করে তখন কর্কটক্রান্তীয় রেখার নিকটে চাঁদের কিরণ লম্ব ভাবে পতিত হয় এবং সেখানে ভরা জোয়ার সংঘটিত হয়।
এই ক্রান্তীয় জোয়ার কর্কটক্রান্তীয় রেখা বরাবর পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। আবার অন্যদিকে রেখার বিপরীত দিকে মকর ক্রান্তীয় অঞ্চলে ও ভরা জোয়ার সংঘটিত হয়। তবে এই দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের জোয়ারের উচ্চতার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই সময়ে ক্রান্তীয় অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার উচ্চতা বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়ার মাত্রা স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার চেয়ে বেশি।
আরো পড়ুন:ভূমিকম্পের কারণ ও ফলাফল
এই জোয়ার-ভাটা প্রতিমাসে দুইবার সংঘটিত হয়, যখন চন্দ্র কর্কট ও মকর ক্রান্তীয় রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়।কর্কট ও মকর ক্রান্তীয় অঞ্চলে এমন জোয়ার-ভাটা কে ক্রান্তীয় জোয়ার-ভাটা বলে। চন্দ্র উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের সময় যখন নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থান করে অর্থাৎ লম্বভাবে আলো দেয় তখন অত্র অঞ্চলে যে জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয় তাকে নিরক্ষীয় জোয়ার-ভাটা বলে। যার মাত্রা স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার মাথার চেয়ে বেশি।
(৬)অনুভূ ও অপভূ জোয়ার-ভাটা
চন্দ্র তার কক্ষপথে আবর্তন করতে করতে এক সময় পৃথিবীর খুব নিকটে চলে আসে। এই নিকটে আসাকে অনুভূ বলে। তখন চন্দ্র ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব হয় মাত্র ৩,৫৬,০০০ কিলোমিটার। এই সময় চন্দ্রের জোয়ার উৎপাদন করার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে প্রবল জোয়ার হয় তাকে অনুভূ জোয়ার বলে। এই জোয়ার স্বাভাবিক জোয়ার অপেক্ষা ১৫-২০ শতাংশ বেশি উঁচু হয়।
আরো পড়ুন:জলবায়ুর উপাদান গুলো কি কি বর্ণনা কর
অন্যদিকে নিজ কক্ষপথে আবর্তন করতে করতে চন্দ্র এক সময় পৃথিবী থেকে খুব দূরে চলে যায়। এই দূরে চলে যাওয়াকে অপভূ বলে।আর তখন চন্দ্র ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব হয় প্রায় ৪,০৭,০০০ কিলোমিটার। এর ফলে চন্দ্রের জোয়ার উৎপাদন করার ক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ কম হয়। এরূপ জোয়ার-ভাটাকে অপভূ জোয়ার-ভাটা বলে। যদি ভরা কটাল ও অনুভূ জোয়ার একই সময়ে সংঘটিত হয় তবে তাহা অনেক প্রবল হয়। আবার মরা কটাল ও অপভূ জোয়ার-ভাটা একই সময়ে হলে জোয়ার-ভাটার মাত্রা মারাত্মক হ্রাস পায়।
(৭) দৈনিক ও অর্ধ দিবস জোয়ার-ভাটা
কোন স্থানে ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট পর পর যে জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয় তাকে দৈনিক বা প্রত্যহ জোয়ার-ভাটা বলে।১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পর পর কোন স্থানে যে জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয় তাকে অর্ধ দিবস জোয়ার-ভাটা বলে।
(৮)বিষুবীয় ভরা জোয়ার
সূর্যের ভিন্ন ভিন্ন স্থান পরিবর্তন ও সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর আবর্তনের ফলে প্রতি ৬ মাস পর পর যে জোয়ার সংঘটিত হয় তাকে বিষুবীয় জোয়ার বলে।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, চন্দ্রের আকর্ষণে যেখানে মুখ্য জোয়ার হয় তার প্রতিপাদ স্থানে গৌণ জোয়ার হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে ভরা জোয়ার হয় এবং অষ্টমী তিথিতে মরা কটাল বা জোয়ার হয়। আজকের আর্টিকেলে জোয়ার-ভাটার শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।