জলবায়ু পরিবর্তনের মানব সৃষ্ট কারণ বর্ণনা কর
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে জলবায়ু পরিবর্তনের মানব সৃষ্ট কারণ সম্পর্কে বর্ণনা করার চেষ্টা করব।আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।কারণ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত বিষয়।আর জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্ববাসীর নিকট রীতিমত হুমকিস্বরূপ।
জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি,জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস, কৃষি উৎপাদন হ্রাস, রোগ ব্যাধির বিস্তার, খাদ্যাভাব,দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত সমস্যা দেখা দিয়েছে।আর বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে ধরা হয়।
ভূমিকা
পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে। এতে কোন সন্দেহ নেই।এমনকি কয়েক বছর আগেও ধারণা করা হয়নি যে, এই পরিবর্তন এত দ্রুত ঘটবে যা এখন দেখা যাচ্ছে।অবশ্য জলবায়ুতে প্রাকৃতিক কারণেই সব সময় ঘাত-প্রতিঘাত সৃষ্টি হয় এবং নানা পরিবর্তন ঘটে তবে বর্তমানে যে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে তা মূলত মনুষ্য সৃষ্ট।
মানুষ কর্তৃক পরিচালিত উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন, জ্বালানিসহ প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, ভূমি ও বন ব্যবহার, ভোগবিলাস ইত্যাদি নানা কর্মকাণ্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরে উৎসারিত এবং বায়ুমণ্ডলে পুঞ্জিভূত গ্রীন হাউস গ্যাসের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো দ্রুত বাড়বে বলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
আর এই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিই নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্ম দিচ্ছে। পৃথিবীতে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও হ্যারিকেনের সংখ্যা এবং তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু, সু-উচু পর্বতমালা এবং অন্যত্র জমাটবাঁধা বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। সমুদ্রস্ফীতি ঘটতে শুরু করেছে।আবার জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাপক ভাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন
আর কোন স্থানের দীর্ঘকালের দৈনন্দিন আবহাওয়ার গড় পর্যালোচনা করে বায়ুমণ্ডলের ভৌত উপাদান গুলোর যে সাধারণ অবস্থা দেখা যায় তাকে ঐ স্থানের জলবায়ু বলে।পৃথিবীর সকল শক্তির মূলেই রয়েছে সূর্যের আলো।পৃথিবীতে প্রতিদিন যে সূর্যকিরণ পৌঁছায় ভূপৃষ্ঠতা শোষণ করে।শোষিত সূর্যকিরণ আবার মহাশূন্যে বিকিরিত বা প্রতিফলিত হয়।এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম।
আরো পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
আর প্রাকৃতিক নিয়মের এই শোষণ বিকিরণ প্রক্রিয়ার কোন ধরনের বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে। বিজ্ঞানীদের মতে বহুকাল আগে থেকেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে আসছে।আর বর্তমান পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন একটি প্রধান আলোচ্য বিষয়। কোন জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তনকে জলবায়ু পরিবর্তন বা ক্লাইমেট চেইঞ্জ বলে"।
জলবায়ু পরিবর্তনের মানব সৃষ্ট কারণ
১/শিল্পায়ন
শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা লাভ করতে থাকে, যার ধারা বর্তমানেও বজায় আছে।বর্তমানকালে এসে এর গতি কয়েকশত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প কারখানাসমূহ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বায়ু,পানি ও মাটিতে নির্গত করে।এর ফলে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং একই সাথে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি সাথে সাথে জলবায়ুর পরিবর্তন সাধিত হয়।
২/নগরায়ন
শিল্প বিপ্লবের পর থেকে সমগ্র বিশ্বে নগরায়নের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।নগরায়নের ফলে গৃহ, অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি নির্মাণ এবং নতুন কলকারখানা, গৃহসামগ্রী, যানবাহন প্রভৃতির সমন্বয় ঘটানো হয়।মানুষ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্যাস উৎপন্ন করে, যা বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায়।
৩/জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার
এছাড়া শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কলকারখানা, যানবাহন, বাসগৃহ, অফিস-আদালত, মার্কেট, বন্দর প্রভৃতি স্থানে বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন-পেট্রোল, তেল, গ্যাস প্রভৃতির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এসব উৎস থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। এছাড়াও পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়। আর জীবাশ্ম জ্বালানির অধিক ব্যবহার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
৪/শিল্প বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা
শিল্প বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ পরিবেশ দূষিত হয়।বিভিন্ন ধরনের শিল্প বর্জ্য চারপাশের পরিবেশকে দূষিত করে তোলে এবং উদ্ভিদের শ্বসনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় বিঘ্নিত হলে অক্সিজেন উৎপাদন কমে যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।শিল্প বর্জ্য পানিতে মিশে পানির অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস করে।আর এভাবে শিল্প বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ জলবায়ুর পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
৫/মানুষের বিলাসবহুল জীবন
মানুষের জীবনের গতি বজায় রাখতে গিয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে যান্ত্রিক যান,যা পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্য পুড়িয়ে পরিবেশ কে করছে দূষিত। মানুষের ভোগ-বিলাসের জন্য যেসব দ্রব্যের প্রয়োজন তা শিল্প কারখানায় তৈরি হচ্ছে। এসব শিল্প কারখানার ধোঁয়া ও বর্জ্য পরিবেশের অন্যতম শত্রু। তাছাড়া প্রতিদিন শহরবাসীরা যে পরিমাণ বর্জ্য ত্যাগ করছে তাও পরিবেশকে দূষিত করছে। এছাড়া গুড়ো সাবান, ওষুধপত্র ও প্রসাধনী, এমনকি বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রীও দূষণ ত্বরান্বিত করছে।
৬/ওজোন স্তর ক্ষয়
যানবাহন ও শিল্প কারখানা থেকে ওজোন স্তর বিধ্বংসী রাসায়নিক উদগিরণ করে ওজোন স্তর ছিদ্র করছে। ফলে সূর্য থেকে ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌঁছাচ্ছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
৭/গ্রিন হাউজ গ্যাস
বর্তমান সময়ে গ্রিন হাউস গ্যাসের উৎপাদনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়ন বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়। জলবায়ুর বৈজ্ঞানিক মডেলে এসব সূচককে ইংরেজিতে অনেক সময় Climate forcing বলে অভিহিত করা হয়।
৮/জনসংখ্যার স্ফীতি
জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে আবাসন ও চাষের জন্য বনভূমির উজাড় করা হচ্ছে। ফলে পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ৪১ লাখ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে।এর মধ্যে এশিয়া থেকেই ধ্বংস করা হচ্ছে ২১ লাখ হেক্টর কৃষি জমি।
৯/যানবাহনের অদগ্ধীভূত কার্বন
যান্ত্রিক যানবাহনগুলো থেকে কার্বন সঠিকভাবে পুড়ে না বলে ধোঁয়া,কালি,ভুসা, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি নির্গত হয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।
১০/ফসিল ফুয়েল জ্বালানি
কয়লা পোড়ালে সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড,ছাই, ধূলি প্রভৃতি নির্গত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে কম মাত্রায় বায়ু দূষণকারী পদার্থ বের হয়।
১১/শিল্পোন্নত দেশগুলোর ভূমিকা
শিল্পোন্নত দেশে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কলকারখানা। এসবের ধোঁয়া ও নির্গত বায়ু পরিবেশ দূষিত করছে।
১২/কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার
পৃথিবীর জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগানের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই জমিতে বারবার বা একাধিক ফসল ফলাতে হচ্ছে। আবার সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ভূ-নিম্নস্থ পানি দূষিত হচ্ছে যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
১৩/ফসলের অবশিষ্টাংশ পচন থেকে উদ্ভূত মিথেন
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ফসলের চাষ। ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটিতে পচনের ফলে নিঃসৃত হচ্ছে মিথেন গ্যাস।বায়ুমণ্ডলের মিথেনের আয়ু ১০ বছর। বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য এটি ১৫%বেশি দায়ী।
১৪/এসিড বৃষ্টি
বিভিন্ন যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোয়া এবং গ্রীন হাউস ইফেক্টের কারণে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে মিশে এসিড তৈরি করছে।এ এসিড যখন বৃষ্টি আকারে ঝরে পড়ে তখন তাকে এসিড বৃষ্টি বলে। এর ফলে বনাঞ্চল,পশুপাখি বিলুপ্তি হতে পারে এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হতে পারে যা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
১৫/সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিক্ষেপ
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় সমুদ্রের বিপুল জলরাশি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।পৃথিবীর উৎপন্ন তাপমাত্রার একটি বড় অংশ সমুদ্র শোষণ করে। বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করার ফলে সমুদ্রের পানির স্বাভাবিক ধর্ম বিনষ্ট হয়ে যায়। সমুদ্রের পানিতে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেলার ফলে একদিকে যেমন সামুদ্রিক জীবনের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে তেমনি সমুদ্রের পানি তার শোষণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সমুদ্রের পানিতে অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিক্ষেপের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, অর্থাৎ বেড়ে যায়।যার ফলশ্রুতিতে জলবায়ুর পরিবর্তন সাধিত হয়।
১৬/যুদ্ধ
বিগত শতাব্দীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ (প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪- ১৯১৮ সালে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯-১৪৫ সালে) সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের মধ্যে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছোট-বড় যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগেই রয়েছে। এসব যুদ্ধ-বিগ্রহে যেসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুমণ্ডলের সাথে মিশে যায়। যা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন সাধিত হয়।
১৭/পারমাণবিক বিস্ফোরণ
পারমাণবিক শক্তির তেজস্ক্রিয়তা এতো বেশি যে,তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরাজ করে। পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুমণ্ডলে মিশে উত্তপ্ত করে ফেলে। যেমন-১৯৮৬ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার চেরণোবিল নামক স্থানে যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটে যার ফলে বায়ুমণ্ডল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সমগ্র পৃথিবীতে এর প্রভাব পড়ে।মানবসৃষ্ট এই পারমাণবিক বিস্ফোরণ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
১৮/বৃক্ষ নিধন
ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে বায়ুমণ্ডলে উদ্বৃত্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সৃষ্টি হয়,যা বায়ুমণ্ডলকে দ্রুত উষ্ণ করে তোলে। বনভূমির বাণিজ্যিক ব্যবহার, ইকো ট্যুরিজম, বনভূমির উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ, দারিদ্র্য, রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতির কারণে বৃক্ষ নিধন হয়ে থাকে। বৃক্ষ নিধন বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টির ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
শেষ কথা
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বিশ্বের জলবায়ুতে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিশ্বের জলবায়ুতে যে পরিবর্তন ঘটেছে সে বিষয়ে বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ বর্তমানে আতঙ্কিত। বিশ্ব উষ্ণতা আমাদের ঋতু পরিক্রমাতে প্রভাব ফেলছে এবং ঋতু বৈচিত্র্যের রূপকে করেছে ক্ষুণ্ন। যার কারণে জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগ তথা অতিবৃষ্টি,বন্যা, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের আর্টিকেলে জলবায়ু পরিবর্তনের মানব সৃষ্ট কারণ বর্ণনা করা হলো।আশাকরি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।