বাংলাদেশের সুন্দরবনের বর্ণনা দাও

প্রিয় পাঠক আপনারা কি বাংলাদেশের সুন্দরবন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান।তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সুন্দরবনের বর্ণনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশের সুন্দরবনের বর্ণনা দাও
সুন্দরবনে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, পাখি রয়েছে ২৭০ প্রজাতির এবং ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।

ভূমিকা

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ একক ম্যানগ্রোভ বন হলো সুন্দরবন যা জীববৈচিত্র্যের এক বিশেষ আঁধার।এ বনের বয়স প্রায় পাঁচ হাজার তিনশ'বছর। জোয়ার- ভাটার আওতাভুক্ত এলাকায় অবস্থিত এ বনভূমিকে প্লাবন বনভূমি নামেও আখ্যায়িত করা হয়।১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।


সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার যা যৌথভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের মধ্যে সুন্দরবনের আয়তন ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন বিস্তৃত।

ভৌগোলিক অবস্থান

সুন্দরবনের প্রায় ৬২ ভাগ অংশ বাংলাদেশে অবস্থিত। অবশিষ্ট ৩৮ ভাগ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।আর বাংলাদেশে এ বন ৮৯ ডিগ্রি ও ৮.৫৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং ২১. ৩০ ডিগ্রি ও ২৩. ২৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।সুন্দরবনের উত্তরে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর,খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ এবং বাগেরহাট জেলার মংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের অংশ, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। অষ্টাদশ শতাব্দীতে তো বটেই, এমনকি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেও সুন্দরবন বিস্তৃত ছিল কলকাতা মহানগরীর উপকণ্ঠ পর্যন্ত।

বিস্তৃতি

সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ হেক্টর; কিলোমিটারের হিসেবে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।বন এলাকা ৪ লাখ ১ হাজার ৬০০ হেক্টর, নদী ও খাল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টর। সুন্দরবনকে ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্যে মোট ৫৫ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।এ ভাগ গুলো কম্পার্টমেন্ট নামে পরিচিত। সুন্দরবন বাংলাদেশের আয়তনের ৪.২ শতাংশ এবং মোট বনভূমির ৪৪ ভাগ।

প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য

সুন্দরবন একটি বিস্তীর্ণ পলল-গঠিত সমভূমি,যা পশ্চিমবঙ্গের সক্রিয় ব-দ্বীপের (Active Delta) অন্তর্গত।অবনমিত ভূমি ও জলাভূমি ক্রমাগত এবং নদী বাহিত পলি ও কর্দম এবং জোয়ারের জলবাহিত বালুকা রাশি দ্বারা ভরাট হচ্ছে।ভূপ্রকৃতিগত দিক থেকে সুন্দরবন অন্যান্য ব-দ্বীপীয় সমভূমির ন্যায় সমতল, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি সামান্য উঁচুতে অবস্থিত।


সুন্দরবন নদী ,নালা,খাঁড়ি অধ্যুষিত এবং বহু দ্বীপের সমষ্টি।ভূমি ভাগ সমুদ্রের দিকে ক্রমনিম্ন এবং বেশ কয়েকশত বর্গ কিলোমিটার স্থান জোয়ারের সময় কোনক্রমে জলের উপর জেগে থাকে। নবীন বদ্বীপ গঠনের একটি আদর্শ উদাহরণ।

জলবায়ু 

সুন্দরবনের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৬০ থেকে ২০০ সে.মি। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে এপ্রিল ও মে মাসে।আর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা থাকে জানুয়ারি মাসে।

মাটি ও পানি 

সুন্দরবনের মাটি পলিযুক্ত দো-আশ মাটি।আর মাটিতে পিএইচ মাত্রা ৫.৪ থেকে ৭.৮ এর মধ্যে।পানি মূলতঃ লবণাক্ত। এখানে আছে ১০২ টি দ্বীপ।এর মধ্যে ৫৮ টিতে মানুষ বাস করে। সুন্দরবনের মাটি খুব উর্বর।তবে এ বনের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা স্থির নয়। তবে একেক বছর একেক মৌসুমে এ মাত্রার পরিবর্তন ঘটে।এর প্রভাব নেতিবাচক‌।তবে সাধারণ প্রবণতা হলো, লবণাক্ততার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।লবণাক্ততা বৃদ্ধির এ ধারা সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্যের প্রতি গুরুতর হুমকি। 

নদ-নদী

এ বনে নদী-খাল আছে সর্বত্র, প্রায় জালের মত বিপুল শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত।ছোট-বড় প্রায় সাড়ে চার শ' নদী প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টর(সুন্দরবনের প্রায় ৩০) ভাগ। এলাকা জুড়ে অবস্থিত। সবচেয়ে বড় নদী পশুর।অন্য উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হলো বলেশ্বর,শিবসা, আড়পাঙাশিয়া, ভোলা, হরিণ ভাঙা, কালিন্দী, আন্ধার মানিক, রায়মঙ্গল, কপোতাক্ষ, কয়রা, মালঞ্চ, শ্যালা, ভদ্রা, ইত্যাদি। যতই দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগুলো যায়, ততই নদীগুলো প্রশস্ততা বাড়তে থাকে। কোন কোন নদী এতই চওড়া যে এক তীরে দাঁড়ালে অন্য তীর দেখা যায় না।

বলেশ্বর ও পশুর নদীর এবং এগুলোর শাখা-প্রশাখার সঙ্গে গঙ্গার সংযোগ রয়েছে। ফলে এসব নদী ও শাখা-প্রশাখায় মিঠা পানির প্রবাহ আছে। শিবসা ও সুন্দরবনের পশ্চিমাঞ্চলে অন্য সব নদীতে মিঠা পানির উৎস কেবল গঙ্গা এবং সুন্দরবনের উত্তর প্রান্তের এলাকার বৃষ্টির পানি। গঙ্গার উজানে ফারাক্কা বাঁধের কারণে শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের নদীগুলোতে মিঠা পানির প্রবাহ কমে যায় এবং লবণাক্ত পানি বিপুল পরিমাণে ঢোকে।এছাড়া সুন্দরবনের নদী খালের অবস্থা খারাপের দিকে। নদীতে চর পড়ছে। নাব্যতা যাচ্ছে কমে। কোথাও কোথাও নদী ভাঙছে।

সুন্দরবন গড়ে উঠার কারণ

বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বৃক্ষের বনভূমি গড়ে উঠার কারণসমূহ নিম্নরূপ:
  • বিভিন্ন নদী মোহনার অবস্থিত;
  • উর্বর পলল গঠিত মৃত্তিকা;
  • সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও লোনা পানি;
  • পরিমিত বৃষ্টিপাত ও প্রয়োজনীয় উত্তাপ;
  • অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও
  • মানুষের স্বল্প বৈষয়িক কার্যাবলী;
  • স্বল্প জনবসতি;

জীববৈচিত্র্য

উদ্ভিদ:

সুন্দরবনের অগভীর খাঁড়ি-অধুষিত মোহনা ও উপকূলীয় পানিসিক্ত ও কর্দমযুক্ত ভূমিতে ক্রান্তীয় অঞ্চলের আদর্শ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্রান্তীয় জলবায়ু ও মৃত্তিকা ম্যানগ্রোভ ও অন্যান্য স্বাভাবিক উদ্ভিদের ব্যাপক বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই বনভূমি এত গভীর ও ঘন যে, বনভূমি থেকে মধু, মোম ও কাষ্ঠ সংগ্রাহকদের প্রবেশও অসুবিধাজনক। ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদের শ্বাসমূল মাটি ভেদ করে ওঠে এবং জোয়ারের পানি সরে গেলে তা দেখতে পাওয়া যায়।


সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষাদির প্রাচুর্য দেখা যায়। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্রাকৃতির ম্যানগ্রোভ, লবণাক্ত এবং স্বাদুপানির উদ্ভিদ।সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং একদা প্রাচুর্য ছিল কিন্তু বর্তমানে বিলীয়মান বৃক্ষটির নাম সুন্দরী। সম্ভবত এ থেকে এ অঞ্চলের নাম সুন্দরবন হয়েছে। মুখ্য উদ্ভিদ প্রজাতিসমূহ হলো ডেভিড প্রাইন। এছাড়াও এ বনে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।যেমন-গেওয়া, বাইন, কেওড়া, গরান, নোনা ঝাউ,ওড়া, কাঁকড়া, বায়েন, ধুন্দল, আমুর, পশুর, খলসী,তাল, গোলপাতা প্রভৃতি এ বনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য উদ্ভিজ্জ সম্পদ।

জীবজন্তু:

অরণ্যহানির ফলে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী অনেক হ্রাস পেয়েছে। তবুও ম্যানগ্রোভ অরণ্য এখনো অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সমাবেশ ঘটায়। ২০০৪ সালে বন বিভাগের হিসেবে সুন্দরবনে ২৪৯ টি বাঘ রয়েছে। বনভূমির পানিতে অথবা স্থলে বিভিন্ন ধরনের কচ্ছপ, কামোট, কুমির বিচরণ করে। তবে পরিতাপের বিষয় কিছু কিছু প্রাণী প্রজাতি যেমন- হগ ডিয়ার,সোয়াম্প ডিয়ার, পানি মহিষ,জাভা গন্ডার,এক শৃঙ্গ গন্ডার ও মাগার কুমির সুন্দরবন থেকে বিগত শতাব্দীতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।সুন্দরবন অঞ্চলে অসংখ্য ধরনের উদ্ভিদ ও জীবজন্তু সৃষ্টি হয়েছে।


সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার পৃথিবী জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিতাবাঘ,বিভিন্ন ধরনের হরিণ,বন্যশূকর, বানর, বিষাক্ত সাপ,বন বিড়াল প্রভৃতি। নদী-নালা ও খাঁড়ি গুলিতে রয়েছে প্রচুর কুমির, ঘড়িয়াল, কাঁকড়া এবং নানা ধরনের মাছ।পক্ষীকুলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সীগাল,সারস, পাতিহাঁস,হাঁস, ঘুঘু প্রভৃতি।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সুন্দরবনের লোথিয়ান দ্বীপে গড়ে উঠেছে কুমির প্রকল্প, সজনেখালিতে ব্যাঘ্র প্রকল্প, পাখিরালয় প্রভৃতি।

ব্যবহারিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনের ব্যবহারিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিম্নে বর্ণিত হলো:

১/সুন্দরী বৃক্ষ

এ বনভূমির সুন্দরী বৃক্ষের আর্থিক মূল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি হিসেবে এর ব্যবহার অধিক। ঘরের খুঁটি, বিদ্যুৎ ও টেলিগ্রাফ লাইনের খুঁটি এবং নৌকা নির্মাণে এই বৃক্ষ ব্যবহৃত হয়।

২/গেওয়া

গেওয়া বৃক্ষ নিউজপ্রিন্ট কাগজ শিল্পে এবং দিয়াশলাই কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

৩/ধুন্দল ও গরান

ধুন্দল কাঠ পেন্সিল তৈরি করার জন্য এবং পশুর চামড়া পাকা করার জন্য গরান বৃক্ষের বাকল ব্যবহৃত হয়।

৪/গজারি ও গোলপাতা

গজারি গাছ জ্বালানি হিসেবে এবং গোলপাতা ঘরের ছাউনিতে ব্যবহৃত হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে গোলপাতা জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৫/অন্যান্য সম্পদ

এ বনভূমি থেকে মোম, মধু, নানা রকমের ঔষুধি গাছ ও ফলমূল সংগ্রহ করা হয়।

সুন্দরবনের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রপকূলবর্তী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বনকেই গরান/স্রোতজ বনভূমি বলা হয়।এ বন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন বা ম্যানগ্রোভ বন নামে পরিচিত। আর এ বনভূমির বর্তমান অবস্থা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
  • অনিয়মিতভাবে মাটি ও পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে বনের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
  • রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং হরিণসহ বিভিন্ন প্রকার বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
  • সুন্দরবনের আয়তন, প্রধান প্রজাতি সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন প্রকার গাছের সংখ্যা এবং ঘনত্ব কমে যাচ্ছে।
  • বেশ কয়েক বছর থেকে মাথামরা রোগে সুন্দরবনের গাছ মরে যাচ্ছে।
  • কাঠুরিয়াদের নিরাপদ চলাচল বেড়েছে ও কাঠ কেটে সম্পদ বিনষ্ট করা হচ্ছে।
  • গাছের বৈচিত্র্য কমে যাওয়ায় সুন্দরবনের মধু ও মোমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
  • যান্ত্রিক যানবাহনের চলাচলে জলজ প্রাণীর প্রকার ও সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
  • সুন্দরবনের খালের গভীরতা কমে যাচ্ছে।
  • খালের পাড় ভূমিক্ষয় ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শেষ কথা

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। কেননা বাংলাদেশের মোট কাষ্ঠ সম্পদের প্রায় ৬০ ভাগ এ বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়া এ বনভূমি সাতক্ষীরা,খুলনা,বাগেরহাট,বরগুনা,পটুয়াখালী প্রভৃতি জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চল ও দ্বীপসমূহে নতুন বনভূমির সৃষ্টি করছে। সুতরাং আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সুন্দরবনের বর্ণনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url