আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধি বর্ণনা কর
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
ভূগোলের মৌলিক ধারণাগুলোর মধ্যে অঞ্চলগুলোর সনাক্তকরণ, শ্রেণী বিভাজন ও বিশ্লেষণ বিজড়নকারী ধারণাগুলো অন্যতম।
ভূমিকা
ভূগোল সংক্রান্ত আলোচনা- পর্যালোচনার ক্ষেত্রে অঞ্চল ধারণা বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর অঞ্চল ভৌগলিক চিন্তাধারার একেবারে মৌলিক বিষয়। আর আঞ্চলিক ভূগোলে অঞ্চল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আঞ্চলিক ভূগোল
ভূগোলের যে শাখায় আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক বিষয়বস্তু অনুশীলন করা হয় তাকে আঞ্চলিক ভূগোল বলে। আঞ্চলিক ধারণার বিশ্লেষণের ফলে ভূপৃষ্ঠের একাধিক উপাদানগুলোর আয়তনগত উপাদান বা বিভিন্ন স্কেলের পার্থক্যমূলক অধ্যয়নের পথ সহজ হয়। আর আঞ্চলিক ধারণার পর্যালোচনা মানবীয় কর্মকাণ্ডের পারিসরিক মূল্যায়ন এবং ভূমি ব্যবহার মুলক বিশ্লেষণে সহায়তা করে।
হার্টশোর্ণ এর মতে, ভূ-পৃষ্ঠের আঞ্চলিক পৃথকীকরণই হচ্ছে ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধি:
আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধি নিচে আলোচনা করা হলো:
১/অঞ্চলের শ্রেণীবিভাগ
২/আঞ্চলিক সীমানা
৩/অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ পদ্ধতি
৪/ভূমিরূপ পরিবর্তন
৫/পাত সঞ্চালন বা প্লেট টেকটোনিক
৬/আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া
৭/ধীর পরিবর্তন
৮/জনসংখ্যা
৯/অভিগমন
১০/উদ্ভাবন ও ব্যাপন
১১/পরিবেশ ও পরিবেশিক অঞ্চল
১২/ভূ-প্রাকৃতিক বা ভূমিরূপ অঞ্চল
১৩/মানব সম্পদ অঞ্চল
১৪/বিশ্ব জলবায়ু অঞ্চল
১৫/রাজনৈতিক অঞ্চল
নিম্নে সংক্ষেপে এগুলো আলোচনা করা হলো-
১/অঞ্চলের শ্রেণীবিভাগ
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার আলোকে অঞ্চলকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যথা-আনুষ্ঠানিক সমরূপী অঞ্চল বা বাহ্যিক অঞ্চল; কার্যকরী অঞ্চল বা সক্রিয় অঞ্চল এবং পরিকল্পিত অঞ্চল।আনুষ্ঠানিক অঞ্চল একটি সমসত্ত্ব বা সমরূপতা বিশিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল। কার্যকরী অঞ্চল একটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং অপরের মুখাপেক্ষী ভৌগোলিক অঞ্চল।
২/আঞ্চলিক সীমানা
একটি এলাকার হিসাবে সীমানা অঞ্চলের একটি সাধারণ উপাদান।প্রত্যেক অঞ্চলেরই সীমানা থাকে; যদিও এক একটি অঞ্চল আয়তন ও প্রকৃতিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। সীমানা অঞ্চলকে সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রদান করে; সীমানার উপর অঞ্চলের আয়তন ও ব্যাপ্তি নির্ভর করে। আর অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যে রেখা দ্বারা সমবৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিভিন্ন স্থানকে অন্যান্য স্থান থেকে পৃথক করা হয় সে রেখাকে আঞ্চলিক সীমানা বলে।
৩/অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ পদ্ধতি
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অঞ্চলের সীমানা ব্যাখ্যা করা যায়।এগুলো হলো-প্রবাহ,বিশ্লেষণ,মহাকর্ষীয় বিশ্লেষণ, ভার আরোপিত সূচক সংখ্যা পদ্ধতি, নিয়ামক বিশ্লেষণ পদ্ধতি।
৪/ভূমিরূপ পরিবর্তন
পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না থাকলেও ভূ-তত্ত্ববিদ দের মতে, বর্তমানে পৃথিবী যে অবস্থায় আগে কোটি কোটি বছর আগে এ অবস্থায় ছিল না।পৃথিবী সৃষ্টির পর পাহাড়-পর্বত নিমজ্জিত হয়েছে সমুদ্রগর্ভে, সমুদ্রগর্ভ উত্থিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী। উঁচু পর্বত এককালে সাগর ছিল তার অনেক প্রমাণ পর্বতগাত্রে রয়েছে। যেমন-হিমালয় পর্বতে সামুদ্রিক মাছের ফসিল আবিষ্কার। আবার পর্বত ও মালভূমি পরিণত হয়েছে সমভূমিতে বা জলাভূমিতে। ভূ-ত্বক নানা জাতীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত। এর কোথাও রয়েছে শক্ত পাথর, কোথাও নরম কর্দমযুক্ত,আবার কোনো কোনো অঞ্চল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকাময় মরুভূমি।
৫/পাত সঞ্চালন বা প্লেট টেকটোনিক
ভূতাত্ত্বিক গঠনপঞ্জির ইতিহাস হতে জানা যায় যে, বাংলাদেশ কোনো সময় সমুদ্রের (টেথিস সাগর) তলদেশের অংশ বিশেষ ছিল।এ বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আমরা ভূ-তাত্বিক আলফ্রেড ওয়েগনারের কথা বলতে পারি। তার মতে, বৃহৎ মহাদেশ প্যানজিয়া হতে বিখন্ডিত হয়ে ৭ টি কঠিন শিলা খণ্ডের সৃষ্টি করে। এর অন্যতম দুটি কঠিন শিলা হচ্ছে-গন্ডোয়ানা ও লরেশিয়া।
তার মতবাদ হতে জানতে পারি ঐ স্থলভাগ দুটি প্যানজিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মধ্যবর্তী টেথিস সাগর সৃষ্টি করে। আর পরবর্তীতে প্লেট টেকটোনিকের কারণে প্রচন্ড সংঘর্ষে তিব্বত নামক কঠিন একটি স্বতন্ত্র ভূখণ্ড টেথিস সাগরে নিমজ্জিত হয়। অপরপক্ষে এ টেথিস সাগরে আয়ারল্যান্ড ও গন্ডোয়ানা-ল্যান্ডের সংঘর্ষের কারণে ভূমি উপরে উত্থিত হয় এবং সুউচ্চ হিমালয় ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে।
৬/আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া
পৃথিবীর উপরিভাগে অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক সময় ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ এখনো উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। এসব উত্তপ্ত বস্তুর মধ্যে তাপ ও চাপের পার্থক্য ভূ-ত্বকে যে আলোড়ন ঘটে তাকে ভূ-আলোড়ন বলে।এ ভূ-আলোড়নের ফলেই ভূপৃষ্ঠের বেশিরভাগ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
আর বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠনকারী শক্তির প্রভাবে ভূ-গর্ভে সর্বদা নানা রূপ পরিবর্তন হচ্ছে।আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,ভূ-কম্পন, পৃথিবীর অভ্যন্তরের সংকোচন, ভূ-গর্ভের তাপ ও অন্যান্য প্রচন্ড শক্তির ফলে ভূ-পৃষ্ঠে হঠাৎ যে পরিবর্তন হয়, তা আকস্মিক পরিবর্তন। এরূপ পরিবর্তন খুব বেশি স্থান জুড়ে হয় না। আকস্মিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়, প্রধানত ভূমিকম্প, সুনামি ও আগ্নেয়গিরি দ্বারা।
৭/ধীর পরিবর্তন
পৃথিবীর আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য প্রধানত তিনটি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। তা হলো-পর্বত, মালভূমি এবং সমভূমি। এ সকল ভূমিরূপ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তি যেমন-সূর্যতাপ, বায়ু, সমুদ্রস্রোত, বৃষ্টি, নদী প্রভৃতি দ্বারা খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ভূমিরূপে পরিণত হয়। এতে সূর্যতাপ, বায়ু, সমুদ্রস্রোত, বৃষ্টি, নদী প্রভৃতি শক্তি খুব ধীরে ধীরে ভূ-ত্বকের ক্ষয় করে থাকে। ফলে পৃথিবীর ভূত্বকের উপরিস্থিত শিলা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। এ শিলা অপসারিত হয়, আবার নতুন করে শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।আর এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।
৮/জনসংখ্যা
পৃথিবী হাজার হাজার যুগ পেরিয়ে এসেছে। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা খুব ধীরে এবং পরবর্তীতে তুলনামূলকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই যে, সময়ের সঙ্গে জনসংখ্যা পরিবর্তনের তারতম্য হচ্ছে,তা হচ্ছে জনসংখ্যা পরিবর্তনের গতিধারা। প্রতি দশ কিংবা পাঁচ বছর অন্তর বর্তমান বিশ্বে জাতীয় ভিত্তিতে লোক গণনা করার প্রচলন রয়েছে। আবার ১৬৫৫ সালের আগে তা ছিল না। ধীরে ধীরে এ লোক গণনা প্রসার লাভ করে; বর্তমানে সকল দেশেই জাতীয় ভাবে লোক গণনা করা হয়।
আর লোক গণনায় দেখা যায় যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছিল কিন্তু সপ্তাদশ শতাব্দীর পরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে আসে। পরবর্তী ২০০ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়। আর ১৮৫০ সালের পর কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়, এর ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি আরো দ্রুত হয়। মাত্র ১০০ বছরের মধ্যেই পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা আবারও দ্বিগুণ হয়। ১৯৫০ সালে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৫১৯ মিলিয়ন, যা ২০১৭ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭,৪৩০ মিলিয়নে।
৯/অভিগমন
এক স্থান হতে অন্য স্থানে বসবাসের উদ্দেশ্যে গমন করা হচ্ছে অভিগমন। আর এখানে উৎসস্থল ও গন্তব্যস্থল বলতে বাসগৃহ, গ্রাম, শহর, জেলা, বিভাগ বা দেশ কোনটি হবে তার নির্দিষ্ট করে দেয়া যায় না। মানুষ একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবগোষ্ঠী। এ মানুষ কখনো বা স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে আবার কখনো বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে বসবাসের জন্য স্থান পরিবর্তন করে। সাময়িক ভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে বা কাজের উদ্দেশ্যে অন্য স্থানে গমন করা হলো বিচলন। এই কারণে সমাজ বিজ্ঞানীরা বিচলন এবং অভিগমনের পার্থক্য নির্দেশের জন্য স্থায়িত্ব বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
১০/উদ্ভাবন ও ব্যাপন
নতুন কোনো কিছু সৃষ্টি করাকে উদ্ভাবন বলে। উদ্ভাবন প্রধানত দুই প্রকার-আকস্মিক ও পরিকল্পিত।ঘটনাক্রমে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কিছুর উদ্ভাবন হলে তাকে আকস্মিক উদ্ভাবন বলে।আর কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে কোনো কিছুর উদ্ভাবন হলে তাকে পরিকল্পিত উদ্ভাবন বলে। সাধারণভাবে ব্যাপন বলতে কোন ধারণা বা উন্নয়ন সময়ের ব্যবধানে কিভাবে বিভিন্ন স্থানে বা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে তাকে বুঝায়।
১১/পরিবেশ ও পরিবেশিক অঞ্চল
প্রাকৃতিক ও মানবিক নানাবিধ উপাদানের সহ-অবস্থান ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে উন্নত অবস্থাকে পরিবেশ বলা হয়।আর পরিবেশ মানুষের কর্মপরিমণ্ডলকে এবং কর্মধারাসহ জীবনযাপন প্রণালিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে। শুষ্ক মরুভূমির কর্মপরিমণ্ডল কৃষি কাজের জন্য উপযোগী নয়; মরুময় এলাকার লোকজন সাধারণত ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পশুচারণ করে জীবনধারণ করে।
অন্যদিকে বৃষ্টিবহুল নিম্ন প্লাবন সমভূমি অঞ্চল কৃষি কর্মের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ অঞ্চলের লোকেরা সাধারণত কৃষিজীবী।গরু,মহিষ প্রধান গৃহপালিত পশু। কৃষিকর্মে এগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।নদী, নৌকা, বন্যা এদের নিত্যসহচর। প্রাকৃতিক উপাদান সমূহকে সাধারণভাবে ভৌগোলিক উপাদানও বলা হয় এবং উপাদানের উৎপত্তি ভেদে পরিবেশকে প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়, যথা ১) মানব সৃষ্ট বা মানবিক পরিবেশ ২) প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক পরিবেশ।
১২/ভূ-প্রাকৃতিক বা ভূমিরূপ অঞ্চল
ভূ-ত্বক বা ভূপৃষ্ঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বন্ধুরতা।পাহাড়-পর্বত,মালভূমি,সমভূমি,নদী-নালা, হ্রদ- সমুদ্র প্রভৃতি ভূ-ভাগের বন্ধুরতা বৈশিষ্ট্যেরই পরিচায়ক এবং ভূ-প্রকৃতি বা ভূমিরূপ বলতে মূলত ভূপৃষ্ঠের বন্ধুরতা বা উঁচু-নিচু বৈশিষ্ট্যকেই বুঝানো হয়ে থাকে। কোনো স্থানের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে উক্ত স্থানের আবহাওয়া, উদ্ভিজ্জ, মৃত্তিকা, উপকূলীয় বৈশিষ্ট্য, ভূমি ব্যবহার, জনবসতি প্রভৃতি নানাবিধ বিষয়ের নিবিড় সংযোগ রয়েছে।
১৩/মানব সম্পদ অঞ্চল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভূগোলবিদ ( Edward Augustus Ackerman 1959) এর মতে,জনসংখ্যা সম্পদ অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যা এবং সম্পদ পর্যালোচনা করে তিনি জনসংখ্যা সম্পদকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করেন। আর এই মানব সম্পদ অঞ্চলগুলো হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেণী অঞ্চল; ইউরোপীয় শ্রেণী অঞ্চল;ব্রাজিলীয় শ্রেণী অঞ্চল; মিশরীয় শ্রেণী অঞ্চল এবং মেরু ও মেরু শ্রেণী অঞ্চল।
১৪/বিশ্ব জলবায়ু অঞ্চল
জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভক্ত পৃথিবীর প্রধান জলবায়ু অঞ্চলগুলো আঞ্চলিক ভূগোলে আলোচনা করা হয়। পৃথিবীর প্রধান জলবায়ু অঞ্চলগুলো হলো- নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল, ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চল, ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চল, উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল, মধ্য অক্ষাংশের মরু জলবায়ু অঞ্চল, উষ্ণ শীতোষ্ণ পূর্ব উপকূলীয় জলবায়ু অঞ্চল, মধ্য অক্ষাংশের মহাদেশীয় তৃণভূমি জলবায়ু অঞ্চল, হিমশীতোষ্ণ মহাসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল,হিমশীতোষ্ণ পূর্ব-উপকূলীয় জলবায়ু অঞ্চল, শীতল সরলবর্গীয় বৃক্ষের অরণ্য জলবায়ু অঞ্চল, তুন্দ্রা বা শীতল মরু জলবায়ু অঞ্চল এবং পার্বত্য জলবায়ু অঞ্চল।
১৫/পৃথিবীর রাজনৈতিক অঞ্চল
পৃথিবী রাজনৈতিকভাবে ৭ টি অঞ্চলে বিভক্ত। এদেরকে মহাদেশ বলা হয়। পৃথিবীর ৬ টি মহাদেশে মানুষ বসবাস করলেও একটি মহাদেশে কোনো মানুষ নেই। এর নাম এন্টার্কটিকা। আর এই মহাদেশগুলো এক বা একাধিক রাজনৈতিক একক হিসেবে বিভিন্ন দেশে বিভক্ত।
শেষ কথা
উপরিউক্ত বিষয়সমূহ আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধির অন্তর্গত।আঞ্চলিক ভূগোলে প্রত্যেকটি অঞ্চলের অধ্যয়নই মুখ্য। আঞ্চলিক ভূগোলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে পৃথিবীর সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন ভূ-দৃশ্যের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা।আজকের আর্টিকেলে আঞ্চলিক ভূগোলের বিষয়বস্তু ও পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।